পূর্ব তিমুরের তেল, গ্যাস, কয়লা ইত্যাদি সম্পদ থেকে প্রাপ্ত আয়ের বৃহৎ অংশ ইন্দোনেশিয়ার রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজে ব্যয় হতো। ফলে পূর্ব তিমুরের লোক তাদের অধিকার আদায়ের জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়। পরবর্তীতে ব্যাপক সহিংসতার প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় পূর্ব তিমুর স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে

রসুলপুর গ্রামের লোকজন পার্শ্ববর্তী শান্তিপুর গ্রামের তুলনায় আর্থ-সামাজিক উন্নতিসহ সকল ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে। তাই রসুলপুর গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে সামিউল রহমান দুই গ্রামের মাঝে বিদ্যমান বৈষম্য কমাতে এবং রসুলপুর গ্রামের উন্নতির জন্য ছয়দফা সংবলিত একটি প্রস্তাব স্থানীয় উপজেলা চেয়ারম্যানের নিকট পেশ করে। কিন্তু স্থানীয় চেয়ারম্যান রসুলপুর গ্রামের উন্নয়ন না করে বরং সামিউল সাহেবকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী হিসাবে আখ্যা দিয়ে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন

পাকিস্তানের ২৪ বছরের ইতিহাস শোষণ, বঞ্চনা ও নিপীড়নের ইতিহাস এবং বৈষম্যের ইতিহাস। এ শোষণ, বঞ্চনা ও নিপীড়নের হাত থেকে বাঙালি জাতিকে মুক্ত করতে উত্থাপিত হয় ছয়দফা দাবি। এ ছয়দফা দাবি বাঙালি জাতির মুক্তির সনদে পরিণত হয়। পরবর্তীতে ৬ দফাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা আন্দোলন এক পর্যায়ে গণআন্দোলনে রূপ নেয়। এ গণআন্দোলন গণঅভ্যুত্থানে রূপ নিলে আইয়ুব খান ক্ষমতা থেকে সরে যেতে বাধ্য হন।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত মিয়ানমারের সাধারণ নির্বাচনে সেনা-সমর্থিত ক্ষমতাসীন দলের ভরাডুবি ঘটিয়ে গণতন্ত্রকামী নেত্রী অংসান সুচি'র বিরোধী দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) জয়ী হয়েছে। উচ্চ ও নিম্নকক্ষ মিলিয়ে সুচি'র দল ৮৫ শতাংশ আসন পেয়েছে বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়। দেশটিতে গত ২৫ বছরের মধ্যে এটাই ছিল সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক নির্বাচন। (উৎস: www.bdnews24.com, তারিখ: ১৩- ১১-২০১৫) 

নির্বাচন সংক্রান্ত একটি আলোচনা সভায় মি. 'ক' বিগত সময়ে পাকিস্তানি আমলে বাংলাদেশের একটি নির্বাচনের কথা বলছিলেন। যে নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলো পৃথকভাবে প্রার্থী মনোনীত করেছিল। ইয়াহিয়া খানের ঘোষণা অনুযায়ী পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আবদুস সাত্তারের নেতৃত্বে একটি নির্বাচন কমিশনও গঠন করা হয়েছিল। বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পেছনে এ নির্বাচনের গুরুত্ব ছিল অনেক

আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেসকোর্স ময়দানে ঘোষণা করলেন, 'এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম'। '২৬ মার্চ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতারের পূর্বেই তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা প্রদান করেন। চট্টগ্রাম কালুরঘাট স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর এ স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন জনাব আব্দুল হান্নান, আবুল কাশেম সন্দ্বীপ।

আসিফ একটি দেশের ইতিহাস পড়ে জানতে পারে- দেশটি একটি ঔপনিবেশিক শক্তির কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে। কিন্তু স্বাধীন দেশেও তারা শোষিত ও বঞ্চিত হতে থাকে। দেশের জনগণ শুরু থেকেই এর প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করতে থাকে। একপর্যায়ে তাদের নেতা শাসকদের নিকট দায়িত্বশীল সরকার ব্যবস্থা পৃথক ক্ষুদ্র এবং আরো কিছু সুপারিশ করেন

জনাব 'S' তার সম্প্রদায়ের জন্য আলাদা এবং একাধিক রাষ্ট্র গঠনের প্রস্তাব করেন। এর আলোকে 'ক' ও 'খ' নামক দুটি রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়। 'খ' রাষ্ট্রের শাসকগোষ্ঠী সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের ওপর নানা রকম শাসন, শোষণ, নিপীড়ন চালায়। পরবর্তীতে অনেক আন্দোলন, সংগ্রাম ও রক্তের বিনিময়ে 'খ' রাষ্ট্রটি ভেঙে 'গ' রাষ্ট্রটির জন্ম হয়। মূলত 'গ' রাষ্ট্রটির বীজ জনাব 'S' এর মূল প্রস্তাবেই নিহিত ছিল

সাথী সাহেব তার নাতনীকে একটি গণঅভ্যুত্থানের গল্প শুনাচ্ছিলেন। তিনি এ আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন। এ আন্দোলন ক্রমে প্রকট আকার ধারণ করলে শাসকগোষ্ঠী মিথ্যা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করে সকল আসামিকে মুক্তিদান করেন।